রাতে ঘুমানোর পূর্বে এই দোয়াটি শুধুমাত্র ১ বার পড়ুন মনের সকল ইচ্ছা পূরণ হবে।

রাতে ঘুমানোর পূর্বে এই দোয়াটি শুধুমাত্র ১ বার পড়ুন মনের সকল ইচ্ছা পূরণ হবে।
সারাদিন আমরা কতই না পাপ করে থাকি। গুনাহ করতে করতে আমরা পাহাড় সমান গুনাহ করে ফেলি। তবুও আমাদের অনেকের সেই পাপের জন্য অনুশোচনা হয় না।আর সমাজের বেশিরভাগ মানুষ যখন অনিয়ন্ত্রিতভাবে পাপে ডুবে যায়, তখনই আল্লাহ এই সময়ে বড় কোনো মহামারী(যেমন করোনা ভাইরাস) বা বালা-মুসিবত প্রেরণ করেন। যেমনঃ লুত (আঃ) এর জামানায় সমকামী প্রথার কারণ এই জাতিকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছিল।
রাতে ঘুমানোর পূর্বে এই দোয়াটি শুধুমাত্র ১ বার পড়ুন মনের সকল ইচ্ছা পূরণ হবে।
যেমনঃ আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনুল কারীমে বলেন→ আমি লুত আলাইহিস সালামকে প্রেরণ করেছিলাম। যখন তিনি তাঁর সম্প্রদায়কে বললেন, তোমরা চরম অশ্লীল নির্লজ্জতার কাজ করছো যা তোমাদের পূর্বে সারাবিশ্বে কেউ কখনো করেনি। তোমরা কামপ্রবৃত্তি পূরণ করার জন্য মেয়েদের কাছে না গিয়ে পুরুষদের কাছে যাচ্ছ। প্রকৃতপক্ষে তোমরা সীমালঙ্ঘনকারী জাতি। ( সূরা আ’রাফ (৭):৮০-৮১)
হযরত লূত আলাইহিস সালামের সম্প্রদায় বসবাস করত সাদ্দূম নগরীতে। তার ডাকাতি করতো, প্রকাশ্য সভা বানিয়ে অশ্লীলতা বেহায়াপনা করতো। তারা সর্বপ্রথম এমন একটি গর্হিত পাপ করে যা এর পূর্বে কোন আদম সন্তান করেনি। লূত আলাইহিস সালামের সম্প্রদায়ের প্রথম সমকামিতা (অর্থাৎ পুরুষ পুরুষ ও মহিলা মহিলা যৌন আচরণ করা) শুরু করে। লূত আলাইহিস সালাম যখন তাদেরকে ইসলামের দাওয়াত দেন, তখন তারা লূত আলাইহিস সালামকে নির্বাসন দিতে চায় এবং উপহাস করে বলতো -এরা নিজেদের বেশি পবিত্র রাখতে চায়।
রাতে ঘুমানোর পূর্বে এই দোয়াটি শুধুমাত্র ১ বার পড়ুন মনের সকল ইচ্ছা পূরণ হবে।
বিভিন্ন তাফসীরগ্রন্থ পাওয়া যায়, জিবরাঈল আলাইহিস সাল্লাম, ইসরাফিল আলাইহি সাল্লাম ও মিকাইল আলাইহিসালাম সূদর্শন পুরুষের রূপ ধরে হযরত লূত আলাইহিস সালামের এলাকায় উপস্থিত হন, এবং মেহমান হন লূত আলাইহিস সালাম গোপনে আশ্রয় দেন, কিন্তু লূত (আঃ) এর এক স্ত্রী এই খবর পাপাচারী সম্প্রদায়ের কাছে পৌঁছে দেয়।পাপচারী সম্প্রদায় তাদের বিকৃত রুচি চরিতার্থ করার জন্য লূত আলাইহিস সালাম এর বাসস্থান আক্রমণ করে। শেষ পর্যায়ে লূত আলাইহিস সাল্লাম আল্লাহর কাছে দোয়া করেন তাঁর মেহমানদের সম্ভ্রম রক্ষা করার জন্য।
তখন ফেরেশতাগণ বলে উঠেন→ হে লূত আলাইহিস সালাম আমরা তোমার পালনকর্তা পক্ষ হতে প্রেরিত ফেরেশতা। এরা কখনো তোমাদের দিকে বোঝাতে পারবে না। তুমি কিছুটা রাত থাকতে থাকতে নিজের লোকজন নিয়ে বাইরে চলে যাও। আর তোমাদের কেউ যেন পেছনে ফিরে না তাকায়। কিন্তু নিশ্চিত তোমার স্ত্রীর উপরও তা আপতিত হবে। যা ওদের উপর আপতিত হবে। ভোর বেলায় তাদের প্রতিশ্রুতির সময়, ভোর কি খুব নিকটে নয়..?[ সূরা হুদ (১১):১১]
মুফাসসিরগণ বলেন →এরপর প্রথম জিবরাইল আলাইহিস সালাম তাদের সামনে আসেন এবং তাঁর ডানা দ্বারা হালকা আঘাত করেন। এতেই সকল পাপাচারী অন্ধ হয়ে যায়। এরপর জিবরাইল আলাইহি সসালাম লূত আলাইহিস সালামের নিরাপদে সরে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করেন। এরপর ডানা দিয়ে সমগ্র সাদ্দূম নগরীকেই গোড়াসহ তুলে ফেলেন, এমন ভাবে তুলে ফেলেন যে এত উঁচুতে নিয়ে যান যে প্রথম আসমানের রক্ষাকারী ফেরেশতারাও সাদ্দূম নগরীর কুকুর আর মোরগের ডাক শুনতে পেয়েছিল।
এবার পুরো জনপদকে উল্টো করে সজোরপ জমিনে ধ্বংসিয়ে দেওয়া হয়। এবার আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রত্যেক পাপীর নাম লেখা পাথর বর্ষণ করা হয়, এমনকি যেসব পাপী বাসিন্দা কোন কাজে সেই নগরীর বাইরে ছিল তাদের উপরও প্রস্তর খন্ড এসে পড়েছিল। এরপর আল্লাহ তায়ালা সে স্থানে দূষিত পানির জলাধারা প্রবাহিত করে দেন। অবশেষে আমার (আল্লাহর) আদেশ চলে আসলো, তখন আমি উক্ত জনপদকে ধ্বংস করে দিয়েছিলাম এবং তাদের উপর স্তরে স্তরে পাথর বর্ষণ করলাম। [সূরা হুদ (১১):৮২] এ বিষয়ে আমাদের মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহু সাল্লাম বলেছেন →আমার উম্মত সম্পর্কে যেসব বিষয়ে সবচেয়ে বেশি ভয় করি তা হচ্ছে পুরুষে পুরুষে যৌন মিলনে লিপ্ত হওয়া।[ইবনু মাজাহ, মিশকাত, হাদিস নাম্বার ৩৪২১]
প্রিয় পাঠকবৃন্দ অথচ আমাদের বর্তমান বিশ্বে সম্প্রদায়ের চেয়েও বেশি পাপাচারের ডুবে যাওয়া সত্ত্বেও মহান দয়াময় আল্লাহ সুবহানাহু তাআলা আমাদেরকে এখনো লূত আলাইহিস সালাম এর মত নিঃশেষ করে দেন নি। উল্টো আমাদেরকে গুনাহ মাফ করে দেওয়ার ব্যবস্থা করে রেখেছেন। কারণ মহান আল্লাহ সুবাহানাতালা অনেক দয়াশীল অনেক ক্ষমাশীল তাতেই আমরা বেঁচে রয়েছি। তাই আমরা যতই গুনাহ করিনা কেন আল্লাহ আমাদের ঠিকই মাফ করে দেন।
তবে আল্লাহর কাছে এর জন্য প্রার্থনা করতে হবে। আর আমাদের তওবা কবুল হলেই তো এবং যথাযথ এস্তেগফার করলে তবেই তো আল্লাহ আমাদের পাপ ক্ষমা করে দিবেন। আর পাপ ক্ষমা করে দিলেই তো আমাদের উপর আপতিত হওয়া সকল মহামারী ও বালা-মুসিবত থেকে আল্লাহ সুবাহানাতালা আমাদেরকে রক্ষা করবেন।
আজকের আর্টিকেলটিতে আলোচনা করি একটি দোয়া। যা আপনি যদি রাতে ঘুমানোর পূর্বে পড়েন তাহলে আল্লাহ আপনার সমস্ত গুনাহকে মাফ করে দিবেন এবং সমস্ত মহামারী রোগ থেকে আল্লাহ আপনাকে হেফাযত করবেন।
নবী (সাঃ) বলেছেন →যে ব্যাক্তি রাতে ঘুমানোর পূর্বে এ দোয়া পড়বে আল্লাহ তায়ালা তাঁর সমস্ত গুনাহ মাফ করে দিবেন। যদিও তার সমুদ্রের ফেনার পরিমাণ / মরুভূমির বালু রাশির পরিমাণ/ বৃক্ষের পাতার পরিমাণ/ দুনিয়ার সমস্ত দিনের পরিমাণও হয় এবং খাঁটি দিলে তাওবা করলে নিশ্চয়ই তা কবুল হবে। [ তিরমিজি, ইমাম গাযায়ালী,আল আযকার, (আদু দাউদ ১৪৮১) ]
হাদিস দ্বারা বুঝলাম “আস্তাগফিরুল্লাহ হাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লাহুয়াল হাইয়ুল কাইয়ুম ওয়াতুবি ইলাইহি” এই দোয়াটি যদি আপনি রাতে ঘুমানোর পূর্বে পড়েন তাহলে রাসূল (সাঃ) বলেছেন →আপনার পাপ যত বড়ই হোক না কেন, যাই হোক সমুদ্রের ফেনার মতো হোক বা মরুভূমির বালুরাশি হোক বা বৃক্ষের পাতার মতো যদি আপনার গুনাহ হয়ে থাকে তাহলে আপনি অবশ্যই এই দোয়াটি পড়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। আল্লাহ কাছে দুটি হাত তুলে বলুন।
ইয়া আল্লাহ আমরা যত গুনাহ করেছি আল্লাহ আমাদের যাবতীয় বালা মুচিবত এবং মহামারী করোনা থেকে রক্ষা করুন আর আক্রান্ত হলেও যেন সুস্থ করে দেন। এই বলে খাস দিলে তওবা করুন আল্লাহ তায়ালা আপনার আবশ্যই কথা শুনবেন ইনশাআল্লাহ। তাই বন্ধুরা আমরা প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর পূর্বে এই দোয়াটি শুধুমাত্র ১ বার পড়ুন
thanks